এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপন্যাস পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ ,

                            পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ

                                                    পার্ট ০৪
পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ


 ভাঁইজা খায় , নুনেরও কি দামরে বাবা । পাঁচ টেহা শের  এতো টেহা পাইবো কই? ওদিকে গুদুর বাপ জালাবের ও খিদা সারাদনি না খাওয়া , পোলাডা তো নুন ছাড়া শাক  ভাঁইজা খাইছে। এ্যাহন কি করি যাই মণ্ডল বাড়ি ঢেকির শব্দ শুনা যায় । দেখি চারডা খুদ চাল দেয় কিনা? বড় চাচী বাড়ি আছেন নাকি ? হ্যা আছি বাবা , চাচী খিদায় আমার পরাণ যায় আমারে চারডা খুদ চাল দিবায়ন ? মণ্ডল বাড়ির বউ বললো ইরে বাপু তোমার আলাপ হুইনা বাঁচিনা , খুদ চাল আমগের গাভীন গরু খায় সময় বিষয় আমরাও খায়। তোমারে খুদ চাইল দিমু কিভায় , দিলেও তোমার চাচার কাছে হুনন লাগবো। না হুইনা দিলে আমারে আবার বকা ঝকা করবো । চাচী মিয়া মজুরী খাটছি এ্যাহনো টেহা পাই নাই , খিদায় তো পরাণ যাই গো চাচী , তাইলে আপনে গো ঐখানে থেইকা চারডা ভাড়ার গুইরা নেইগা । বাড়ি যাইয়া চিতয় বানাইয় খামু । মণ্ডল বাড়ির বউ বললো আচ্ছা বাপু তা নেউ গা। দৌড়ায় বাড়ি গিয়া পানি দিয়া ভাড়ার গুইরা গুলে নুন তেল ছাড়া চিতয় বানাই খায়।  হায়রে শালার খিদা আগে আমার মা চাট খই ভাঁইজা ডুল ভয়রা রাখছে আর মণ্ডল কাঁঠাল  চাট খই খাইছে ,  এ্যাহন শুদ খাইয়া ধনী অইছে ভাতেরে কয় অন্ন।   আর আমি চারডা খুদ চাইছি ঘরে খুদ রায়খা না করে ।এখন ওর বাড়ির ভাঁনরার গুইরা দিয়া চিতয় বানায় খায় ।  খিদার জ্বালায় মিটায়  হাইয়ে শালার ভাত । ভাতরে। ওদিকে ঝামেলা বেগম নতুন বউ নিয়া ধান ভানতে গেছে সারাদিন ধান ভানতেছে দুপুরে চারপা কাবার দিলো কিনা? কেঠা কইবো ? ওহন  আবার গুদু ঘটি নিয়া দৌড়ায়তেছে । নুন ছাড়া খালি শাক খাইছে এ্যাক সমানে পেটেরে অসুখ চলতেছে । এ্যাহন যদি ডাক্তার আনতে যাই তাইলে টেহা তো দিবার পারমু  না । আবার তো ডাক্তার কইবো আরো দুই মাস বউ দিয়া ধান ভাইনা দে। বউডা সারাদিন মানুষের বাড়ি ধান ভানে ,রাত হলে ঠিক মতো ঘুমায়তে পারে না। সারারাত বাতের বিষে চিৎকার করে । যাই বক্কর কবিরাজকে ডেকে আনি দেখি ঝাড় ফুঁক দেওয়ায় 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন