এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপন্যাস , পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ, Nobel Civic Famine

 উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ,  Nobel Civic Famine

    পার্ট ০৫

পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ


সাবার ঘরেই খাবার নাই । একবিঘা জমি লাগাইলাম তাতে একমুণ ধান পাইলাম মাত্র । কিছুটা গম বুনেছিলাম অইটাও ছাগল গরু নষ্ট কয়রা ফেলেছে । অহন কিযে করি। গুদুর বাপ যাই বক্কর কবিরাজের বাড়ি । বক্কর কবিরাজ ওকবিরাজ অমনি কবিরাজ সাড়া দিলেন , এই কেঠা আমি বাড়িত আছি । ওহ জালাবে তুমি তো মিয়া আমার ঘুম ভাঙ্গায় দিলা কেবলই একনেছা ঘুম আইছিলাম। কাল সারারাত তুরমুজের পুলা হুরমুজেরে ঝারছি । ওগো বাড়ির পাশে তেঁতুল তলায় সাত ভাইবোন থাকে পরায় চুষে খাইয়া ফালাইছিলো । অল্পের জন্য আমি থাইকা রক্ষা । জালাবে কইলো ও কবিরাজ পুলাতা আমার মইরা যাইতেছে । জন্মের পর থাইকা পুলাডার প্যান প্যানানি ছাড়তেছে না। তুমি এডা ঝারা দিয়া দেখউত্তর মুখ করে বসালেন তারপর বির বির করে ঝারা দিতে শুরু করলে এবার বক্কর কবিরাজ বললেন ওর উপর দৃষ্টির আচর হয়ছে। আমি ঝারা দিয়া ছাড়াই দিমু তবে পাঁচ আনা পঁয়সা একপোয়া চাল দুইডা রসুন তিনডা পিয়াজ পাঁচটা মঁরিচ এক খামচি লবণ , দেওয়া লাগবো । অমনি জালাবে বললো তুমি আমার মায়ের পেটের ভাই , আমার পুলারে এডা ঝারা দেও । আজ সারাদিন উপোস সকালে পুলা খিদার জ্বালায় নুন ছাড়াই শাক ভাইজা খাইছে । আমি মিয়া বাড়ি থাইকা ধান ভানা গুইরা এনে চিতয় বানায় খাইছি। পুলাডা আমার বাঁচাও কবিরাজ । বক্কর কবিরাজ বললেন হুনলাম তোমার কথা কিন্তু এইডা আমার গুরুর নিয়ম পালন করলে আমার বড় ক্ষতি হবো । আচ্ছা তোমার যখন বিপদ তাইলে আমি ঝারা দিয়া দেয় , তবে কথা অইলো আমারে পাঁচ আনা পয়সা দেওয়া লাগবাই। জালাবে বললো মাত্র পাঁচ আনা পঁয়সা আমার কাছে আছে বিপদ আপদের লাইগা লাখাছিলাম। আমার বউ ধান ভাইনা এই পাঁচ আনা পঁয়সা জমায় ছিলো । ঘরের খাম কেটে পাঁচ আনা পঁয়সা জালাবে বের করে বক্কর কবিরাজকে দিলা এই নাও কবিরাজ। এরপর কবিরাজ ঝারতে শুরু করলো ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন