এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপন্যাস , পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ, Nobel Civic Famine

 উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ,  

Nobel Civic Famine

পার্ট ০৬

উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ,  Nobel Civic Famine

দোহায় চন্ডি  সিদ্ধশরী,

বাসুলি মা তোইবা ,

উত্তর দক্ষিণ বন্দনা করি,

কারুক কামাক্ষা,

বাসুলি মা তোইবা।

যাও এইযে ঝাইরা দিলাম , শক্ত  মর্দ ধরছিলো । আর কোন চিন্তা নাই। আর যাতে  না আছর করে সেজন্যে এতটা তাবিজ  দিয়া গেলাম আর কোন ডর নাই। যদি আবার কোন সময় ধরে তাইলে এই তাবিজ ধুয়ে পানি ছিটায় দিলে ছাইরা যাবো। তবে সাবধান ইলিশ মাছ গরুর গোশতো আগামী পনেরো দিন কোন ভাবেই খাওয়াতো দুরের কথা বাড়িতেও আনা যাবে না। ওদিকে বউ শাশুড়ি ধান ভাইনা সন্ধ্যা হয়ে হইলো বাড়ি ফিরছে মজুরী বাবদ আদা শের চাল আর এক চয়ন ভারার গুইরা দিছে , সাথে কিছুটা খুদ চাইলও দিছে। রাতে খাওয়ন দাওন হইলো তারপর নতুন বউ শুয়তে গেলো । এর আগে কোনদিন নতুন বউ ধান ভানে নাই তাই শরীলটা বিষ বেদনা করতেছে । পরের দিন সকালে না খেয়ে আবার বউ শাশুড়ি খেতিশ ডাক্তারের বাড়ি ধান ভানতে গেছে । এদিকে জালাবে আর মন্ডল বাড়ি গম কাটা কামলা দিছে। দুই পঁয়সা কয়রা মজুরী । সকালে গমকাটা কামলাদের খাবার দিছে গমের ছাতু । আর মণ্ডলেরা খাইলো ভাত আর গজার মাছের তরকারী । এই পাড়ায় হিন্দু বাড়ি মণ্ডল বাড়ি  এদের কোন অভাব নাই আর নইলে সবার অভাব আর অভাব। এদিকে বউ শাশুড়ি ধান ভানতেছে খিদায় পরাণ যাই। আর যেন পা চলে না । পরে ঝমেলা কইলো , আজকা কি পান্থা ভাতের পানি নাই? খিদায় জান যায় , আর তো পা চলে না। এ বাড়ির কেউ কোন সাড়া দিলো না। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন