উপন্যাস , পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ, Nobel Civic Famine
খেতিশ ডাক্তারের পুলার বিয়া , ডাক্তারের বউ কইলো তোমরা
ধান ভানো আর গীত গাহান করো । খিদায় কি মুখে গান আসে?
আমগো দামন সাজিছে গো ,
চন্দ্র সুরুজের মতো করে গো,
পালকি দিয়া যাবো বিয়া,
সোনার খাটে বসিয়া ,
সুন্দর দামনো গো।
খেতিশ ডাক্তারের বউ কইলো তোমরা গীত কও পান খাওয়ামু
পরে দুপুর হইলো পান্থা ভাত আর কাঁচা মরিচ দিলো
খাইয়া আবার ঢেকিতে উঠবা । বিয়ার ধান ভানা লাগবো তাই সারারাত লাগবো । আজকা রাতে
ধান ভানবা কাল সারাদিন ঘুম পাড়বা । ওদিকে জালাবে আর গুদু সারাদিন মাঠে কাম করলো । সন্ধ্যা
হলে বাড়ি ফিরলো । তাম করে দুই পঁয়সা করে বাড়ি নিয়ে এলো । আজ কয়েকদিন ধরে ঠিক মতো খাওয়া
দাওয়া নাই , ধরতে গেলেই উপোস। আজ বালা চারডা খামু । জালাবে বাড়ি এসে বউকে ডাকলো বউ
ও বউ কোন সাড়া নাই , ততে জালাবে বুঝতে পারলো বউ এখোনো ধান ভেনে বাড়ি ফিরে নাই । রাত করে বউ বাড়ি ফিরবো কিভায় যাই বউকে আগায় নিয়া
আসি। এখান থেকে পোয়া মাইল দুরে । এখনো ঢেঁকির শব্দ হুনা যাই , কারণ কি? খেতিশ ডাক্তার
জালাবেকে দেখে কইলো কিরে বাবা বাকি টাকা ফেরত দিতে আসছো বুঝি ? জালাবে বললো না ডাক্তার
সাব আমগের পোনাইয়ের মা অহনো বাড়ি যাই নাই তাই খুঁজ নিতে আইছিলাম। ডাক্তার বললেন আমার
ছেলেরে বিয়ে তাই বিয়ার ধান ভানতেছে। ঔষধের টাকা পঁয়সা তো কিছু দিলে না? তা যদি সংগে
টাকা থাকে তাহলে দিয়ে যাও । শুন বাবা তোমার
বাবাও আমার কাছ থেকে অনেক টাকার ঔষধ মারা গেছে
। বাকী খাতায় অনেক টাকা হয়ছে। তর বাকী এখন অনেক দিন হলো । টাকা আমার চায়। জালাবে বললো
কাদো কাদো গলায় , কত টেহা হইছে এহন ? ডাক্তার বলেন হয়ছে তো অনেক টাকা শুদে আসলে পঞ্চাম
টাকা । জালাবে বললো এতো টেহা কি করে হইলো? আমি এ্যাহন এতো টাকা দিমু কেমনে ! এটু দয়া
করেন । হা দয়া করবো |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন