এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপন্যাস , পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ, Nobel Civic Famine.

 উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ, 

 Nobel Civic Famine.

পার্ট ০৮


উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ,  Nobel Civic Famine

বাকী খাতা দেখ কতো টাকা হয়ছে ? দুই চার পয়সা হলে কথা তাও একাটা কথা ছিলো ।  জালাবের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ! এতো টেকা! ডাক্তার সাব বললেন এতো টাকা কিভাবে দয়া করা যায় বল দেখি তুই আমারে ?  এখন আমার টাকা দে নয়লে বাড়ি ভিটা লিখে দে? জালাবে বললো ডাক্তার সাব আমি গরীব মানুষ , এতো টেকা আমি কেমনে দিমু ঐটুকু জায়গা আমার পৈতৃক ভিটা আমার বাপ দাদার স্মৃতি , আমি হেই জায়গা কেমনে লিখে দিমু ডাক্তার সাব , এটু রহম করেন আল্লা আপনার প্রতি দয়া করবো । এটু দয়া করেন সামনে মৌসুমে ফসল কেটে শোধ করে দিমু । নয়লে আপনার বাড়ি আমার বউ আরো ছয় মাস ধান ভাইনা দিবো। তবুও এটু দয়া করুন।  ডাক্তার সাহেব বললেনে আমি তাহলে পঞ্চায়েত ডাকি তাহলে হলে ঠিকই তখন বুঝবি। দুদিন পর পঞ্চায়েত ডাকা হলো গ্রামের মোড়লরা সবাই এলো ,  মোড়ল সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন , কিরে জালাবে বাকী টাকা দিস না কেন? জালাবে বললেন এতো টাকা কোথায় পাবো মোড়ল সাব আমি তো গরীব মানুষ , নুন আনতে পান্থা ফুরায় । আমার প্রতি এটু দয়া করেন । আল্লা আপনাদের প্রতিও দয়া করবো । অমনি কেতিশ ডাক্তার বাকী খাতা বের করলেন এই দেখনে মোড়ল সাব বাকী পঞ্চাশ টাকা । মোড়ল  সাব বাকী খাতা দেখে রপগ করে বললেন , বাকী নেওয়ার সময় মনে থাকে না যে এতো টাকা াদতে পারবো না । এই বল টাকা কবে দিবি। জালাবে ভয়ে ভয়ে বললেন আমি এতো টাকা কোথায় পাবো হুজুর ? আমার প্রতি এটু করুন । মোড়ল সাহেব অমনি বলে উঠলেন দুই চার পয়সা হলে নয় দেখা যেত । এতো টাকা কি করে সম্ভব শুদে আসলে পঞ্চাশ টাকা! কি করে সম্ভব?  এখন তাহলে তুই ঠিক কর কি করবি ? অমনি খেতিশ ডাক্তারে কানে কানে বললেন নগদ আদায় করে দেন দশ টাকা আপনার আর নেইলে বাড়ি ভিটা লিখে দিতে বলেন। তখন মোড়ল সাব হুংকার দিয়ে বললেন এই অসভ্য ডাক্তার বাবুরে জমি লিখে দে। দমক খেয়ে ভয়ে জালাবে অমনি সাদা কাগজে টিপ সহি দিলেন। জালাবে চখের জল মুছতে মুছতে বাড়িতে গেলেন । বাড়ির উঠানে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে লাগলে আহারে এই মাটিতে জন্ম আমার আমি এই মাটি ছাইড়া কেমনে থাকমু কেমনে বাঁচমু , তোমারা আমারে কও , আমি বউ পুলা নিয়া কোথা থাকবো গো? ওরে আমার আল্ল গো আমারে এতো গরীব কেনে বানাইলা ? আমি আমার জন্ম স্থান ছাইড়া কেমনে থাকমু? জালাবে কান্নায় প্রতিবেশিরাও হু হু করে কান্না শুরু করলো । তারা বুঝাইলো ধৈয্য ধরো । পাশে জালাবের বউ হাউ মাউ করে কেদে উঠলো গুদুও ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদা শুরু 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন