এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপন্যাস , পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ, Nobel Civic Famine

 উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ, 

 Nobel Civic Famine.

পার্ট ০৯

উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ,  

করলো । ওদের ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদায় চারপাশ বিরহে ভরিী হয়ে গেল।  তোমার উপর আল্লা আছেন তিনি তোমারে দেখবো । গুদুর বউ সবে মাত্র পোতি হয়ছে , গুদুর মা ঝমেলার শরীলও তেমন ভালো না। জালাবের ঘটি বাটি গুছিয়ে সবাই মিলে বাড়ি ছেড়ে অজানা উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো । বাড়ি ছেড়ে যাবার সময় জালাবে আর জালাবের বউ বার বার ছনের কুঁড়ে ঘরের দিকে তাকিয়ে চখের জল ফেলছিলেন । আর মনে পড়ছিলো সুখে দুখে কত স্মৃতি ছনের কুঁড়ে ঘর নিয়ে। চলার পথে আকশে গুরুম করে ডাক দিয়ে নামলো বৃষ্টি গুদুর পোঁয়াতি বউ তাই বউকে একটা ফেন কঁচুর ডাটা এনে দিলো গুদুর মা ঝামেলা বেগম , এই নে বউ এটা মাথায় দে । আল্লা আমাদের ঠিকই একদিন রহম করবো । চিরদিন মানুষের দুঃখ থাকবো না । জালাবে  গুদুকে নিয়ে রেললাইনের পাশে সরকারি জমিতে একটা ঝুঁপরি করে কোনরকম একটা মাথা গুাজার জায়গা হলো । এদিকে জালাবের জ্বর উঠে গেল জ্বরে সারা শরীল থরথর করে কাঁপছে । বাড়ি থেকে বের হয়েই বৃষ্টি বাদল তো সব ওর উপর দিয়েই গেছে। মনে হয় এবার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেলে । তার মধ্যে আমার উপোস , এদিকে জালাবে জ্বর আরো বেড়ে গেলো বাবার চিন্তায় গুদুর চখে ঘুম নাই । রাত ভারী হয়ে এলো জ্বরের মধ্য জালাবে প্রলাপ বকতাছে । জালাবের বউ মাথায় পানি ঢালতাছে , এটু চুপ করে আল্লা করেন। এই এলাকায় একটা মাত্র ডাক্তার খেতিশ ডাক্তার  , এখন ডাক্তার ডাকার দরকার  কিভাবে ডাকি কন? ঐ ডাক্তারের জন্য বাড়ি ভিটা ছাড়া । গভীর রাতে জালাবে মারা গেল । অমনি ঝমেলা চিৎকার দিলো ওরে আল্লা গো চিৎকার শুনে গুদু আর গুদুর বউ দৌড়ায় যেয়ে কান্না শুরু করলো । পরদিন সকাল হলো এ সময় গুর খোড়া লোক পাওয়া যায় না। চারদিকে কলেরা মহামারী তার মধ্য আবার  অভাব । গুদু সবাইকে ডাকলো বাবা তো মারা গেছে তোমরা এটু আহ। পাড়ার প্রতিবেশীরা কেউ তার ডাকে সাড়া দিলো না। পাশের বাড়ির লেদু রশিদ আবুল তরফদার সকলেই কইলো এই কলেরার রোগী আমরা দাফন দিতে পারমু না এই রোগ আমগের হবো। মনে বড় দুঃখ নিয়ে চখে জল ফেলতে ফেলতে বাড়ি ফিরে এলো। তারপর গুদু আর ওর মা ঝমেলা বেগম  নিজেই পাশে রেললাইনের ধারে জঙ্গলে কোনরকম একটা গর্ খোড়ে। গুদু আর মা ঝমেলা বেগম বাড়ি এসে , বাড়ি এসে চিন্তা করলেন আমার এ্যাডা মাত্র পুলা যদি এ লাশ হাত দিয়া ধরি , আমি মরলে তো যায় আহে না , যদি পুলা আবার ময়রা যায়। থাক হাত দিয়া ধরা দরকার নাই। মরার গোসল না দিয়ে জালাবের লাশটা ছেড়া কাথা দিয়ে পেচিয়ে দিলো। দুজন মানুষে 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন