এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপন্যাস , পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ, Nobel Civic Famine

 উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ,

  Nobel Civic Famine.

পার্ট ১০

উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ,  Nobel Civic Famine
উপন্যাস , পৌরাণিক  দুর্ভিক্ষ

জালাবের লাশটা বয়ে নিতে পারে না , গুদুর মা তখন কলার মরা ডাটা জালাবের লাশের গলায় বেঁধে , গুদু আর ঝমেলা বেগম টেনে টেনে নিয়ে কবর দিলেন। জালাবে মরারর দুদিন পর সাথে দুদিনের উপোস খুদায় পরাণ যায় । খুদার চুটে আর থাকতে পারি না। দুপুরে বাড়ির পালান থেকে শাক তুলে নুন ছাড়া শাক ভাইজা খাইছি , এখন কি করি , আর তো পারি না , আর কত? পেটে পাথর বাইন্দা রাখমু । সারাদিন কোন কাজ খুজে পাই নাই। সন্ধ্যা হলো , পেটের জ্বলায় দুনিয়া আন্ধার হয়ে যাইতেছে। পাশের বাড়ি আবুল তরফদারের ঘর ঐ বাড়ি থেকে মুনে হয় খাবারের গন্ধ আহে যাই দেখি খাবার যোগাড় করতে পারি কি না?

আল্লা আমগেরে এতো ভাতর অভাব দিছে ক্যান? রাত যখন এটু বেশি হইলো গুদু আস্তে আস্তে আবুলের বউয়ের রান্না ঘরে ঢুকলো। গুদু যখন ভাত নিয়ে দরজার কাছে এলো , দরজার সাথে গুদুর ডান হাতের কুনুই লাইগা গেল । ঠিক তখনি ঝং করে একটা শব্দ হলো । এমন সময় রান্না ঘরের শব্দ শুনে আবুলের বউয়ের  ঘুম ভাঙ্গা গেল । শব্দ শুনে আবুলের বউ আবুলকে ডেকে তুললো ,এই ঘুমায়ছো কিযেন একটা শব্দ হইলো । অমনি দুজনে উঠে গুদুকে আবুল ধরে ফেললো । আবুল আর আবুলের বউ চিৎকার শুরু করলো । এই তোমরা কে কই আছো আমার চোর হান্দাইছে , এ আগায় আহ , চোর ধরছি । আশপাশে সাবাই হারে রে করে হাক ডাক দিয়া এলো। এদিকে গুদু আবুল আর আবুলের বউ পা ধরে কান্দা শুরু করলা আমার ভুল হইয়া গেছে , আজ দুইদিন ধরে না খাইয়া আছি , খিদার জ্বালা আর পরাণে সহে না চাচী মাফ কয়রা দেন । এমন ভুল আর জীবনে করমুনা। এর মধ্য সবাই জড়ো হলো কেউ আবার কিল ঘুষি মারলো । পাশের বাড়ির দুলাল মিয়া কইলো ওরে আম গাছের লগে বাইন্দা রাখ । সকালে পঞ্চায়েত ডাইকা ওর বিচার করমু। এই আবুল তুই পাহারা দে , এ্যাহন তোমরা সবাই যার যার বাড়িতে যাও। সকালে এ্যাহানে সবাই আবার আসবা । সবাই চলে গেল আবুল থাকলো পাহাড়ায়।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন