এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ, ঔপন্যাস , Nobel civic Famine

                                            উপন্যাস, পোরাণিক দুর্ভিক্ষ

                                পৌরাণিক

                                       দুর্ভিক্ষ

                                                           পার্ট ০৩

পৌরাণিক দুর্ভিক্ষ


 কাল থেকে বউ পাঠাই দিবে দিনে পাঁচ মণ ধান ভানা লাগবে । আমি তাহলে যাই , ডাক্তার মনে মনে ভাবল ষাট পয়সা দিতেও পারবে না কোনদিন , বাকী খাতায় আরো বেশী লিখে রাখবো । তারপর ব্যাটার জমিন খানা আমি লিখে নিবো ।এবার সকাল হলে গুদুর কলেরা থামলো  ,গুদুর ভীষণ রাগ হলো , অথচ  সারা রাত কলেরায় পয়রা থাকলাম শালার বউ  একবারও কাছে আসলো না । অমনি গুদু বউকে ডাকলো , বউ বউ ও বউ এদিকে আয় । বউ কাছে এলেই গুদু ঝাড়ু দিয়ে বউকে খুব পিটালো , অমনি বউ চিৎকার শুরু করলো ও মা ও বাবা গো মরলা গো বাঁচাও গো । যাক এতক্ষণে রাগ আমার মিটলো । গাছের ছায়ায় বসে গুদু পড়সিদের বকতে লাগলো , আমরা মানষের বউ মারলে ফিরায়তে যায় না , আমগের বউ মারলে পাড়ার সবাই দৌড়ায় আহে। পড়শিরা কয়লো দেখ বাবা গুদু নতুন বউ দুইদিন অয় নাই । এবা কয়রা মানষে বউ মারে? তুমি তো গুদু কসাইয়ের মতো । গুদু কয়লো ওরে মায়ের সংগে  ধান ভানতে যাবার কও । নইলে ওরে আর আস্ত রাখমুনা । ওরে আমার সামনে থিকা হরায় নিয়া যাও। গুদুর মাও কইলো ঐডা বউ বদের আছারী , সুয়ামি অসুখ ,  তা রায়খা ডং ডং করে । ওরে ঘোড়ার চাবুক গছন লাগবো । তাইলে সে ঠিক অইবো । নতুন বউ নিয়ে গুদুর মা চললো খেতিস ডাক্তারের বাড়ি  ধান ভানতে । রাতে শাশুড়ি  বউ কেউ খায়নি খিদায় পরাণডা যাই উপায় কি? ধান ভানতে হবো । গুদুর মা খেতিস ডাক্তারের বউকে বললো ও মাসী ভাত না থাকে চারডা পান্থা ভাতের পানি দেন ? খাইয়া শরীলে শক্তি করি । খেতিস ডাক্তারের বাড়ির কাজের ব্যাঠি চারডা পান্থা ভাতের পানি আর দুই চারডা পান্থা ভাতও আছে , হাতে দিয়ে  বললো , বউ শাশুড়ি খাইয়া শরীলে জোর বাড়ায়া নাও । তারপর ঢেকিতে উঠো। এদিকে গুদু সারাদিন কাম না পাইয়া ভিদায় অস্থির , কোন উপায় না পাইয়া বাড়ির পাছ থেকে শাক তুলে নুন ছাড়া

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন